Baking Ingredients 101: Eggs

pixabay 162712

বেকিং এ ব্যবহার হয় এরকম উপকরণ অনেক, কিন্তু প্রধানতম উপকরণ কিন্তু কেবল চারটিঃ ময়দা, চিনি, ডিম, আর বাটার বা ফ্যাট জাতীয় উপকরণ, আপাতত এই চারজনকে নিয়েই কথা বলা যাক। প্রথম পর্বে আসছে ডিম এর কথা।ডিমঃ ডিম ছাড়া কিছু কিছু বেকিং সম্ভব হলেও ডিম লাগে এরকম রেসিপিই বেশি। প্রায়ই রেসিপিতে ডিম এর সাইজের কথা বলা থাকে, সব রেসিপিতে সমস্যা না হলেও কিছু কিছু ক্রিটিক্যাল রেসিপি ঠিকঠাক মত বানাতে গেলে ডিম এর আকৃতির ভালোই ভূমিকা আছে, আর একারণেই কোন কোন রন্ধনবিদ কোন কোন জায়গায় ডিমটা এমনকি ওজন করেও ব্যবহার করতে বলেন।

বেকিং এ ডিম এর মূলত নয়টি কাজ আছেঃ

স্ট্রাকচারঃ ডিম রান্না হতে থাকলে এর ভেতরের প্রোটিন জমাট বাধে , আর এর উপরে নির্ভর করেই অনেক বেকড জিনিস এর স্ট্রাকচার তৈরী হয়।

লিভেনিং বা ফাঁপানোঃ সম্পূর্ণ ডিম বা ডিমের সাদা অংশ কে ফেটিয়ে বাতাস আটকে ফেলা যায়, আর এভাবেই বাতাসের বুদবুদ আটকে ফেলে অনেক মিশ্রণ ফাঁপিয়ে তোলা হয়। এই ব্যাপারটাকে ফোমিং আবার রেসিপি ভেদে মেরাং বানানো বলা হয়। এই পদ্ধতিতে ডিম নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতার ব্যাপার আছে। এই প্রক্রিয়ায় যেহেতু বিট করে ডিম বা এর সাদা অংশের ভেতরে বাতাস ঢোকানো হয়। তাই খেয়াল রাখতে হবে বিট যাতে অনেক বেশি না হয়ে যায়, তা না হলে ফোম বসে যাবে, ঠিকভাবে ফাঁপানো যাবেনা।

কোমলতা বাড়ানোঃ ডিমের কুসুম এর ভেতরে যে ফ্যাট থাকে সেটা ময়দার গ্লুটেন প্রোটিন এর তন্তুকে ছোট করে আনে, এতে করে বেকড খাবার নরম হয়।

আর্দ্রতা বৃদ্ধিঃ যেহেতু ডিম এ প্রচুর পানি থাকে, ডিম যোগ করায় খাবার এর সার্বিক আর্দ্রতা বেড়ে যায়, আমরা যেই অবস্থাকে ময়েস্ট বলে থাকি ( ? )

ওয়াশঃ অনেক রকমের রুটি বা পেস্ট্রি তে উপরে এগ ওয়াশ দেয়া হয়ে চকচকে ভাব আনার জন্যে, এছাড়া টপার হিসেবে দেওয়া তিল বা অন্য কিছুকে ডো এর সাথে আটকে রাখতেও এ সাহায্য করে।

ইমালসিফাইংঃ আমরা বলি তেলে জলে মিশ খায়না, ইমালসিফিকেশান হলো এমন প্রসেস যাতে করে মিশ না খাওয়া দুই রকমের তরল একসাথে মিশে যেতে পারে। ডিম ন্যাচারাল ইমালসিফায়ার, যে তেল আর জলকে মিশে যেতে সাহায্য করে আর আমরা মসৃণ মিশ্রণ পাই। অনেক রেসিপিতে ডিম সব একসাথে দিয়ে ফেলতে মানা করা হয়, এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে। ঠিকমতো ইমালসিফিকেশান না হলে বেকড প্রোডাক্ট এর ঠিক টেক্সচার পাওয়া যাবেনা, তাই যেখানে একটা করে ডিম দিতে বলা সেখানে একটা করে দিতেই হবে, তা না batter ঘন না হয়ে তরল ধরণের হয়ে যাবে, বেক করার পরে কোথাও শক্ত আবার কোথাও নরম হবে, কারণ ইমালসিফিকেশান ঠিকমতো হয় নি। ডিমের ইমালসিফেকাশানের (emulsification) এর জন্যে Room temperature এ আনা ডিম ব্যবহার করতে হয়।Room temperature এ না এনে ডিম বিট করলে আপনি কখনোই কাংক্ষিত ফল পাবেন না। আমরা সাধারণত ফ্রিজ এ রাখা ডিম ব্যবহার করে ফেলতে চাই, যা কখনোই করা উচিত নয়। খুব তাড়াহুড়ো থাকলে একটা বড় বাটিতে হাল্কা গরম পানি নিয়ে তাতে ডিম চুবিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি রুম টেম্পারেচারে চলে আসবে।

ফ্লেভারঃ বেকড জিনিস এ ডিম একটা সুন্দর ফ্লেভার যোগ করে।

রংঃ অনেক প্রোডাক্ট যেমন মেরাং পাই, ইয়েলো কেক এসবে ডিমের কুসুম থেকেই হলদে রং টা আসে।

পুষ্টিঃ আসল ব্যাপারটাই তো পুষ্টি, ডিম এর হাত ধরে প্রোটিন, ভিটামিন ডি থেকে শুরু করে আরো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ যোগ হয় খাবার এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *