সেরাম ব্যবহার বা layering করবেন কীভাবে?

How to use or layer serums 1

 

১) সেরাম ব্যবহারের আগে মুখ ধুয়ে নিতে হবে

স্কিনে থাকা কোনো ধরনের ময়লা, তেল অথবা অন্য প্রডাক্ট সেরাম স্কিনে এবজর্ব হতে বাঁধা দেয়। তাই স্কিন ক্লিনজিং দিয়ে শুরু হওয়া উচিত আমাদের প্রথম স্টেপ। চাইলে এই স্টেপে আমরা ফেসওয়াশের পর একটা ক্লিনজিং টোনার ব্যবহার করতে পারি ফেসে জমে থাকা সব dirt ঠিকমত চলে গেছে এনশিউর করতে।

(বলে রাখা ভালঃ যদি কোন এসিডিক সেরাম এপ্লাই এর জন্য স্কিন প্রিপেয়ার করতে চান তাহলে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে টোনারটি সেই এসিডিক ইনগ্রেডিয়েন্টস এর সাথে পেয়ার করতে পারছে কিনা। কেননা অনেক হাইড্রেটিং টোনার ই এসিডিক ইনগ্রেডিয়েন্টস এর সাথে পেয়ার আপ করতে পারে না)

২) এক্সফোলিয়েশন (Optional)

আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে যদি কোন এক্সফোলিয়েটিং সেরাম থাকে তাহলে এটা অন্য সেরামের আগে এপ্লাই হবে। এর বেশ কিছু কারণ আছে। শুরুতে এক্সফোলিয়েট করে নেয়া সবসময়ই একটি ভালো আইডিয়া কেননা ডেড স্কিন সেল আপনার ফ্রেশ স্কিনের উপর অদৃশ্য একটা ব্যারিয়ার তৈরি করে যা সেরাম এবজর্ব হতে দেয়। রিসার্ফেসিং বা এক্সফোলিয়েটিং সেরামগুলো স্কিনের ডেড স্কিন সেল রিমুভ করে আর পরবর্তী সেরামগুলো সুন্দর করে এবজর্ব হতে সাহায্য করে।

৩) এসিডিক সেরাম এপ্লাই

এসিডিক সেরাম বলি আমরা যেসব সেরামের pH লেভেল ২.৫-৪.০ পর্যন্ত। কখনো কখনো ব্র‍্যান্ডগুলো সেরামের pH লিস্ট করে দেয় লেবেলিং এ। অথবা নাম দেখেও বোঝা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

অনেক এসিডিক সেরামই এক্সফোলিয়েশনের কাজ করে (যেমন- Lactic acid, AHA অথবা BHA)। যদি আপনার এসিডিক সেরামটা একই সাথে একটা এক্সফোলিয়েটিং সেরামও হয়, তাহলে এর ব্যবহার দিনে কিন্তু একবারই হবে। দুটো ভিন্ন এক্সফোলিয়েটিং সেরাম একটার পর একটা ব্যবহার করতে যাবেন না!

তবে এর ব্যতিক্রম আছে আর নামের শেষে এসিড থাকলেই যে সেটা এক্সফোলিয়েটিং সেরাম তা কিন্তু না। যেমন Hyaluronic acid, polyglutamic acid- এরা এক্সফোলিয়েট করে না। এগুলো এক্সফোলিয়েটিং সেরামের পর ব্যবহার হবে। এক্সফোলিয়েটরের পর পরই এসিডিক সেরাম ইউজ করা যেতে পারে যদি দুটো প্রডাক্টসেরই pH লেভেল এক হয়।

মনে রাখা উচিত, সেরাম গুলো সুপার কনসেনট্রেটেড থাকে তাই শুধুমাত্র কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট।

৪) এরপর ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা

এই অপেক্ষাটা আমরা করব যদি স্কিন কেয়ার রুটিনে এসিডিক সেরামের সাথে অন্য কোন নন-এসিডিক সেরাম বা প্রোডাক্ট থাকে। এই ১৫-৩০ মিনিট সময়টাতে সেরাম যথেষ্ট সময় পায় নির্দিষ্ট pH লেভেলে থেকে এদের কাজটা ঠিকমত করার। অপেক্ষা না করে যদি খুব অল্প সময়ের মাঝে দুটি ভিন্ন pH লেভেলের প্রোডাক্ট আমরা স্কিনে এপ্লাই করি এরা মিক্স হয়ে যায় আর যে সেরামের যে কাজটা করার কথা ছিল তা করতে পারে না।

(উদাহরণ- নায়াসিনামাইডের সাথে যখন হাইড্রক্সি এসিড ইউজ করা হয় তখন স্কিনে রিএক্ট করে লালচে ভাব অথবা র‍্যাশ হয়।)

৫) এবার নন-এসিডিক সেরাম এপ্লাই

AHA বা BHA এপ্লিকেশন এবং ওয়েটিং টাইমের পর  স্কিনে নন এসিডিক সেরাম এপ্লাই করা যাবে৷ অথবা স্কিনে যদি কোনো এসিডিক সেরাম এপ্লাই না করা হয় তাহলে সরাসরিই ক্লিনজিং এর পর আমরা এই স্টেপে আসতে পারি৷ Niacinamide, most vitamin C, retinoids, peptides, bakuchiol and any calming or hydrating ingredients প্রায় সবগুলোই নন এসিডিক। এদের pH লেভেল থাকে ৪.৫ থেকে ৭.০ এর মধ্যে৷

৬) এবার অন্যান্য প্রোডাক্ট এপ্লাই (যেমন ময়েশ্চারাইজার/ অয়েল বা এদের পর সানস্ক্রিন)

How to use or layer serums 2

সেরামের লাস্ট লেয়ারটি যখন স্কিনে পুরোপুরি এবজর্ব হয়ে যাবে তখন স্কিনে আমরা ‘Moisture lock’ এর চেষ্টা করব। ময়েশ্চার লকিং এর সহজ মানে হচ্ছে আমার স্কিনে এতক্ষণ যা কিছু এপ্লাই করলাম তা যেন বাতাসে উড়ে না যায়। এবজর্ব হওয়া কোন প্রোডাক্ট বা পানির পরিমাণ যাতে স্কিনেই ইনট্যাক্ট থাকে আর  বাতাস একে বাষ্পীভূত করে স্কিন থেকে টেনে নিয়ে যেতে না পারে। এর জন্য ময়েশ্চারাইজার (ফেস ক্রিম) বা কয়েক ফোটা ফেস অয়েল দরকার যারা স্কিনের উপর একটা আবরণ তৈরী করে প্রোডাক্টের এই বাতাসে চলে যাওয়া বন্ধ করবে। দিনের বেলা হলে ময়েশ্চারাইজার বা অয়েলের পর সানস্ক্রিন দিয়ে এ কাজটি কমপ্লিট করা যেতে পারে৷

আশা করছি ব্লগগুলোতে স্কিনকেয়ার রুটিনে সেরাম এড করার লাভগুলো কী কী এবং কিভাবে সেরাম আমাদের স্কিন কে বেটার ওয়েতে চেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে এটা একটু বোঝাতে পেরেছি। সেরামে শুধুমাত্র যে এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস এর সবচেয়ে concentrated ফর্মূলা থাকে তাই নয়, এটা স্কিনের খুব গভীরেও যেতে পারে আর স্কিনকে ম্যাক্সিমাম বেনিফিট দিতে হেল্প করে। আমাদের স্পেশাল এটেনশন দিতে হবে সঠিক সেরাম ফর্মুলা, সঠিক ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো সিলেক্ট করার দিকে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *