সেরাম কী, স্কিনকেয়ারে সেরাম কী কাজে লাগে এগুলো নিয়ে আমাদের কিছু জানাশোনা আছে অনেকেরই। কিন্তু কোন সেরাম কীসের জন্য নিতে হবে এই ব্যাপারটাই অনেকের কাছে গোলমেলে হয়ে যায়। কিছু সেরাম থাকে মোটামুটি সবার উপরই কাজ করবে, আবার কিছু সেরাম থাকে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্কিনের জন্য উপকারী। মোস্ট কমন এমন কিছু সেরাম-
- হাইড্রেটিং সেরাম
- এন্টি এজিং বা এন্টি-অক্সিডেন্ট সেরাম
- ব্রাইটেনিং সেরাম
- রিসার্ফেসিং বা এক্সফোলিয়েটিং সেরাম
- ক্ল্যারিফায়িং সেরাম
- পোর মিনিমাইজিং সেরাম
- কামিং সেরাম
কোন ধরণের সেরাম কী কাজ করে এবার সেই ব্যাপারে লিখব।
হাইড্রেটিং সেরাম
হাইড্রেটিং সেরাম আমাদের স্কিনে এক্সট্রা লেয়ারের ময়েশ্চার দেয়। এদের কাজ স্কিনে পানির পরিমাণ ধরে রাখা যাতে স্কিন ডিহাইড্রেটেড বা শুষ্ক না হয়৷ এদের কোন কোনটা আবার বয়সের সাথে স্কিনের plumpness চলে যাবার সমস্যাটাও প্রিভেন্ট করে।
উদাহরণঃ Hyaluronic acid, polyglutamic acid, glycerin, aloe vera, snail mucin.
কাদের জন্য?
যেকোন স্কিন টাইপে ব্যবহার করা যাবে তবে স্পেশালি বেনেফিট পাবে ড্রাই স্কিন, ডিহাইড্রেটেড স্কিন এবং এজিং স্কিন।
আমার রেকমেন্ডেড কিছু হাইড্রেটিং সেরাম
এন্টি এজিং বা এন্টি-অক্সিডেন্ট সেরাম
এরা স্কিনকে ‘ফ্রি র্যাডিকেলস’ থেকে প্রোটেক্ট করে যা স্কিন এজিং এর কারণ৷ সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে ‘ফ্রি র্যাডিকেলস’ খুবই ছোট্ট সাইজের এমন কিছু অণু যেগুলো air pollution, UV rays- এমন কিছু কারণে তৈরী হয় আর আমাদের স্কিনের স্ট্রাকচারকে ধীরে ধীরে ভাংতে থাকে। এদের জন্য স্কিনের firmness, elasticity নষ্ট হতে থাকে যার রেজাল্ট হিসেবে আমরা চোখের নীচে আর পাশে ফাইন লাইন্স, কপালে ভাঁজ পড়া- এগুলো তৈরী হতে দেখি। এন্টি-অক্সিডেন্ট সেরামগুলো ফ্রি র্যাডিকেলস কে বাঁধা দিয়ে স্কিনকে ড্যামেজ হতে রক্ষা করে। কখনো কখনো বোনাস হিসেবে স্কিনের ডালনেস, ডার্ক স্পটস, পিগমেন্টেশন এর মতো সমস্যাগুলোরও সমাধান করে। ত্বকের কোলাজেন বাড়িয়ে স্কিন plumping এ সাহায্য করে।
উদাহরণঃ Vitamin C, retinoids/ retinol, bakuchiol, vitamin E, ferulic acid, argireline, matrixyl, collagen, peptides, coenzyme Q10, green tea.
কাদের জন্য?
✔️ বয়স ২৫+
✔️ ম্যাচিওর স্কিন
আমার রেকমেন্ডেড কিছু এন্টি এজিং সেরাম
ব্রাইটেনিং সেরাম
ব্রাইটেনিং সেরাম নিষ্প্রাণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, টোন ইভেন করে, ত্বকের কালো দাগ (যেমন মেছতা বা ব্রণের দাগ) কমিয়ে আনে। এই সেরাম যে উপাদান দিয়ে তৈরি তা ত্বকের মেলানিন তৈরী আর এর ছড়িয়ে যাওয়াতে বাঁধা দেয়। আর অতিরিক্ত মেলানিন প্রোডাকশনই এই দাগগুলোর কারণ! মাঝেমাঝে ব্রাইটেনিং সেরাম এমন কিছু উপাদানও রাখে যেগুলোর উপর আলো রিফ্লেক্ট করে আর স্কিনে ইন্সট্যান্ট একটা গ্লো চলে আসে। দারুণ না?
উদাহরণঃ Vitamin C, niacinamide, kojic acid, alpha arbutin, tranexamic acid, hydroxy-acids.
কাদের জন্য?
✔️ বিভিন্ন কারণে ত্বকে গাঢ় দাগ হয়েছে। এগুলো ব্রণ থেকে, মেছতা থেকে বা অতিরিক্ত রোদে থাকার কারণে হতে পারে।
✔️ ত্বকে তেমন কোন সমস্যা নেই কিন্তু খুব নিষ্প্রাণ দেখায়, মনে হয় কেমন যেন গ্লো হারিয়ে গেছে।
Late teen age থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের মানুষই ব্যবহার করতে পারেন।
আমার রেকমেন্ডেড কিছু ব্রাইটেনিং সেরাম
রিসার্ফেসিং সেরাম
রিসার্ফেসিং সেরাম আরো বেশ কিছু নামে পরিচিত। যেমন এক্সফোলিয়েটিং সেরাম বা রিটেক্সারাইজিং সেরাম।
এরা সাধারণত AHA, BHA ক্যারি করে অথবা কোনো সেরামে দুটি একসাথেও থাকতে পারে। এরা স্কিনের উপর জমে থাকা dead skin এর লেয়ার সরিয়ে ভেতর থেকে নতুন ফ্রেশ স্কিন বের করে আনে যেটা একদম চকচকে আর স্মুথ!
উদাহরণঃ Lactic acid, glycolic acid, salicylic acid, mandelic acid, azelaic acid, tranexamic acid, kojic acid.
কাদের জন্য?
সব ধরণের স্কিনেই এক্সফোলিয়েটিং সেরাম ব্যবহার করা যায় তবে একেকটা একেক ধরণের স্কিনে বেশি ভাল স্যুট করে। যেমন-
✔️ ড্রাই/ কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ল্যাকটিক এসিড বা গ্লাইকোলিক এসিড
✔️ অয়েলি স্কিনে ম্যান্ডেলিক এসিড বা স্যালিসাইলিক এসিড
আমার রেকমেন্ডেড কিছু এক্সফোলিয়েটিং সেরাম
ক্ল্যারিফায়িং সেরাম
ক্ল্যারিফায়িং অথবা ব্লেমিশ ক্লিয়ারিং সেরাম স্কিনে ব্রণের আনাগোণা কমায় আবার পরবর্তীতে যাতে ব্রেকাউট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। এরা স্কিনের অতিরিক্ত তেল (সেবাম) কন্ট্রোল করতেও সাহায্য করে। এগুলোতে আছে BHA এর মতো বেস্ট ইনগ্রেডিয়েন্ট যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পোরস ডিপ ক্লিন করে। একই সাথে থাকে এমন কিছু সাপোর্টিং উপাদান যা স্কিনের ইনফ্লেমেশন, লাল হয়ে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
উদাহরণঃ Salicylic acid, willow bark extract, zinc, niacinamide.
কাদের জন্য?
✔️ সহজেই ব্রেক আউট হয় এমন একনি প্রোণ স্কিন
✔️ অয়েলি স্কিন
✔️ Clogged pores
আমার রেকমেন্ডেড কিছু ক্ল্যারিফায়িং সেরাম
পোর মিনিমাইজিং সেরাম
পোর মিনিমাইজিং সেরাম large pores কমাতে কাজ করে৷ প্রায়ই দেখা যায় স্কিনের পোরসগুলো অনেক বেশি বড় আর ভিজিবল হয়ে গেছে। পোর মিনিমাইজিং সেরাম এমন সব ইনগ্রেডিয়েন্টস দিয়ে তৈরী যেগুলো পোরের ভেতরে ঢুকে এদের পরিষ্কার করে, ভেতরে জমে থাকা secretion বাইরে বের করে আনে আর সেবাম বা তেল বের হওয়া কমায়। এই ধরনের সেরাম গুলো ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা র্যাশ বা স্কিন বাম্পস কমাতেও সাহায্য করে, স্কিনে একটা স্মুথ টেক্সচার দেয়।
উদাহরণঃ Niacinamide, salicylic acid.
কাদের জন্য?
✔️ Large pores
✔️ Clogged pores
✔️ Orange peel texture (স্কিনের পোরগুলো বড় হয়ে কেমন কমলার খোসার মত দেখায় স্কিনটা)
আমার রেকমেন্ডেড কিছু পোর মিনিমাইজিং সেরাম
কামিং সেরাম
অতিরিক্ত সেনসিটিভ স্কিন কেমন রাগী রাগী হয়ে যায় না? কিছু হলেই যেন রেগে লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, র্যাশ হয়! কামিং সেরামের কাজ এমন angry looking স্কিনকে ঠান্ডা করা। লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি- এগুলো কমায়, স্কিনের ব্যারিয়ারকে রিপেয়ার আর প্রোটেক্ট করে৷ এদের ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো ত্বকের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে এবং ত্বকের কোষগুলির মধ্যে ফাটল ধরাও বন্ধ করে।
উদাহরণঃ Niacinamide, ceramides, Centella Asiatica extract, propolis.
কাদের জন্য?
সেনসিটিভ স্কিন
আমার রেকমেন্ডেড কিছু কামিং সেরাম
একেক ধরণের সেরামের ব্যবহারের নিয়ম একেক রকম। চেষ্টা থাকবে ধাপে ধাপে কীভাবে সেরামগুলো ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল রেজাল্ট পেতে পারেন পরবর্তীতে এই নিয়ে লেখার।
Ami niacinamide use kora start korsi 7 days dhore and ekjon apu amay bolsilo damp skin ey apply korar jonno and then snail mucin essence use korar jonno ami jehetu duto products new amr skin care ey add dite chacchi tai uni bollen ekta koyek din use korar por and then first niacinamide and then snail mucin essence so eta ki evabe use korte parbo??
Niacinamide will never go on damp skin, or else it may cause irritation. যেকোন নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি নতুন প্রোডাক্ট শুরু করার মিনিমাম ১৪ দিন পর সেকেন্ড টা শুরু করা উচিত- এই তথ্যটি সঠিক। নায়াসিনামাইড এবং স্নেইল মিউসিন একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে নায়াসিনামাইড ব্যবহার হবে (ক্লিন, ড্রাই স্কিনে)। এর ৫-১০ মিনিট পর স্কিনে অল্প পানি ছিটিয়ে ফেস ড্যাম্প করে স্নেইল মিউসিন ব্যবহার করা যাবে।