সেরামের ইতিকথা

What is serum blog photo 6

সেরাম কী? স্কিনকে সেরাম কী বেনেফিট দেয় আর আমার জন্য বেস্ট কোনটা এটা কীভাবে সিলেক্ট করব?

যখন স্কিনকেয়ারের কথা আসে আমরা বেসিক কমবেশি সবাই জানি। ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং এবং রোদ থেকে স্কিনকে প্রটেক্ট করা। তবে হেলদি, গ্লোয়িং, ঝকঝকে স্কিন পেতে চাইলে সেরামের চেয়ে বেশি বেনেফিশিয়াল কিন্তু আর কিছুই নেই। অনেক ধরনের সেরামের কথাই আমরা শুনি, আবার হয়তো এপ্লাই ও করি। যেমন হাইড্রেটিং সেরাম, ব্রাইটেনিং সেরাম,  এন্টি-এজিং সেরাম, কামিং সেরাম। আরো কিছু সেরামও মার্কেটে আছে যা এগুলোর সব কাজই একসাথে করে বলে দাবী করে। তো, আসলেই কি তারা worthy আর কীভাবেই বা আমরা নিজের জন্য বেস্ট সেরামটা সিলেক্ট করবো! এই সিরিজের লেখাগুলোতে ধাপে ধাপে সেসবই জানানোর চেষ্টা থাকবে…… এই যেমন সেরাম আসলে কি কাজ করে, কেন সেরামকে ক্রিমের চেয়েও বেশি ইফেক্টিভ বলা হয়, ভিন্ন ভিন্ন কিছু সেরাম এবং কিভাবে সেগুলো আমাদের স্কিনকেয়ার রুটিনে এড করা যাবে।

What is serum blog photo 2

প্রথমে আসি, সেরাম কী?

সেরাম আসলে একটি সাময়িক ট্রিটমেন্ট যা খুবই কার্যকরভাবে ত্বকে এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। এখন এই ‘একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ কী জিনিস? একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হল এমন সব কেমিক্যাল উপাদান যেগুলো স্কিনের ব্রণ, শুষ্কতা, বুড়িয়ে যাওয়া, গভীর দাগ এমন নানান রকম সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা রাখে। ভিটামিন, এন্টি অক্সিডেন্ট, এসিড, পেপটাইড, বোটানিক্যাল এক্সট্রাক্ট সহ এমন হরেক রকম একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে যার একেকটা স্কিনের একেক রকম সমস্যার সমাধান করে।

পাতলা এবং তরল টেক্সচারের জন্য এই একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো থেকে রেজাল্ট পাবার আদর্শ উপায় হল সেরাম। স্কিনকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বছরের রিসার্চের রেজাল্ট এই সেরামগুলো। ব্যবহারকারীদের কাছে সেরামের নামটা হয়ত এখনো নতুন। আর এদিকে বছরের পর বছর ধরে আমরা ক্রিমের সাথে বেশি পরিচিত বলে স্কিনের সব সমস্যার জন্য হয়ত একটি ক্রিমের খোঁজ করি। কোন ক্রিমটা ব্যবহার করলে দাগগুলো চলে যাবে, কোন ক্রিমটা ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে বেঁচে যাব। আসলে, ক্রীমের কাজ কিন্তু এগুলো নয়। একটি ময়েশ্চারাইজারের আসল কাজ হচ্ছে ত্বকে পানির পরিমাণ বা আর্দ্রতা ধরে রাখা। তাই ময়েশ্চারাইজারে যখন এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস উপস্থিত থাকে, এরা অন্যান্য thick উপাদানের সাথে থাকে যা স্কিনের ভেতর এদের ভালভাবে ঢুকে কাজ করায় বাঁধা তৈরি করতে পারে। কিন্তু সেরাম আসলে ওয়াটার বেজড, আমরা যখন স্কিনে এপ্লাই করে থাকি তখন এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো ত্বক তাড়াতাড়ি শুষে নিতে পারে আর সে অনুযায়ী কাজও করতে পারে। সাধারণত সেরাম মুখ পরিষ্কারের পর এবং ময়েশ্চারাইজারের আগে এপ্লাই করা উচিত।

What is serum blog photo 3

সবাই সেরাম এত ভালবাসেন কেন?

হালকাঃ ন্যাচারালি সেরাম পাতলা এবং পানির মত হয়। তাই স্কিনে এপ্লাইয়ের পর আলাদা কিছু লাগানো হয়েছে সেরকম ফিল হয় না৷

দ্রুত স্কিনে মিশে যায়ঃ ক্রিম বা তেল ভারী হওয়ার কারণে স্কিনের উপর আলাদা আবরণ তৈরি করে। সেরাম সে তুলনায় খুবই ছোট অণু থেকে তৈরি হয় যা স্কিনে খুব গভীরভাবে ও তাড়াতাড়ি ঢুকে যায়।

নন-কমেডোজেনিকঃ বেশিরভাগ সেরাম যেগুলো বিশেষ করে অয়েল ফ্রি এবং সিলিকন ফ্রি, সেগুলো পোরস ক্লগ করে না এবং একনে প্রবলেম ও করে না৷ তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে!

টার্গেটেডঃ স্কিনে যে ধরনের সমস্যাই হোক না কেনো, যা ইমপ্রুভ করা দরকার- ডালনেস থেকে ফাইন লাইন, ডার্ক স্পটস সব সমস্যার জন্যই স্পেসিফিক সেরাম রয়েছে৷

কনসেনট্রেটেডঃ সেরামে এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস এর পারসেন্টেজ বেশি অন্যান্য প্রডাক্টস এর চেয়ে। যে কারণে স্কিনের সমস্যা গুলোর উপর খুব দ্রুত কাজ করতে পারে এরা।

খুবই কাজেরঃ এক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকার কারণে এবং গভীরভাবে ত্বকে ঢুকে যাওয়ায় সেরাম দ্রুত সময়ে বেস্ট রেজাল্ট দেয় স্কিনে ব্যবহার করা অন্যান্য প্রোডাক্টের চেয়ে।

সহজে একসাথে বেশ কিছু সমস্যার জন্য ব্যবহার করা যায়ঃ যেহেতু সেরাম খুবই হালকা, তাই সহজে সেরামের আগে বা পরে অন্যান্য প্রোডাক্ট লেয়ার এপ্লাই করা যায়। যেমন- ময়েশ্চারাইজার, ফেস অয়েল, সানস্ক্রিন এবং মেকাপ।

স্কিনকেয়ার রুটিনে সেরাম এড করার সুবিধাগুলো নিয়ে আজ এ পর্যন্তই থাক। কত ধরণের সেরাম হতে পারে তা জানাব নেক্সট ব্লগে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *