Vitamin C and Retinol এই দুটোই কিন্তু খুব পাওয়ারফুল ইনগ্রেডিয়েন্টস আমাদের স্কিনের জন্য । এই দুটো ইনগ্রেডিয়েন্ট অনেক ভাবে হেল্প করতে পারে, যেমন-
- স্কিনের রিংকেল প্রিভেন্ট করতে
- কোলাজেন বিল্ড করতে
- ডার্ক স্পটস এবং পিগমেন্টেশন কমাতে
কিন্তু Vitamin C and Retinol স্কিনে এপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একটু ট্রিকি ওয়ে ফলো করা প্রয়োজন । এটাও জানা উচিত কোন ইনগ্রেডিয়েন্ট টা প্রথমে এপ্লাই করা উচিত আর কোনটি পরে, দুটোর মাঝখানে টাইম গ্যাপ থাকবে কতক্ষণ, অথবা দুটো একসাথে মিক্স করে ইউজ করা যাবে কিনা!
এই লেখাটিতে এরকম বেসিক কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়েই আপনাদের জানাতে চেষ্টা করবো। এই যেমন-
-
রেটিনল এবং ভিটামিন সি একসাথে স্কিনে এপ্লাই করা যাবে কিনা
-
কেন আমাদের ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলোর pH লেভেল এবং solubility অর্থাৎ পানিতে গুলে যায় কিনা, এই ব্যাপারগুলো কনসিডার করা উচিত
-
আমাদের স্কিনকেয়ার রুটিনে কিভাবে রেটিনল এবং ভিটামিন সি কে বেস্ট ওয়েতে কাজে লাগানো যায়
-
আমাদের রেকমেন্ডেড ভিটামিন সি এবং রেটিনল প্রোডাক্টস
Vitamin C and Retinol কি আমরা একসাথে স্কিনে এপ্লাই করতে পারি?
Vitamin C and Retinol একসাথে বা পরপর স্কিনে এপ্লাই করাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়, যেমনটা আমরা আমাদের স্কিনকেয়ার রুটিনে একটার পর আরেকটা প্রোডাক্ট খুব ইজিলিই ইউজ করে থাকি অথবা মিক্স করে থাকি৷ একসাথে এই দুটো ইনগ্রেডিয়েন্টস ইউজ করাটা টাকা এবং সময় দুটোই ওয়েস্ট করতে পারে বরং। আমরা যদি রেটিনল এবং ভিটামিন সি এই দুটো ইনগ্রেডিয়েন্ট এর বেস্ট রেজাল্ট পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে দুটো ফ্যাক্টর মাথায় রাখতে হবে। এর পিএইচ লেভেল এবং সল্যুবিলিটি অর্থাৎ পানিতে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা।
Vitamin C and Retinol এই দুটো ইনগ্রেডিয়েন্টস একসাথে ইউজ করলে কি কি হতে পারে আর কেনোইবা এতো ম্যাটার করে এবার সেদিক টা একটু জেনে আসা যাক।
❌ pH লেভেল পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে
সব স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস যেগুলো ওয়াটার বেইজড এমনভাবে ফর্মুলেট করা হয়ে থাকে যা নির্দিষ্ট পিএইচ লেভেলে কাজ করে থাকে। যেসব স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস ওয়াটার বেইজড না সেগুলোতে পিএইচ ও থাকে না।
- Retinol এ ৫.০ – ৬.০ এর মতো pH থাকে। গবেষণা বলে এই মাত্রার pH এই রেটিনল বেস্ট কাজ করে থাকে।
- L-Ascorbic Acid, ভিটামিন সি এর একটি এক্টিভ ফর্ম যা ৩.৫ অথবা এর কম পরিমাণ pH লেভেল স্কিনের জন্য এফেক্টিভলি কাজ করে।
যেহেতু Retinol & L-Ascorbic acid এর মাঝে বেশ বড় ডিফারেন্স রয়েছে pH লেভেলের দিক থেকে তাই এই দুটো ইনগ্রেডিয়েন্টস একসাথে ইউজ করার ক্ষেত্রে রেটিনলের pH কমে যেতে পারে এবং ভিটামিন সি এর pH বেড়ে যেতে পারে। যেকারণে কোনো ইনগ্রেডিয়েন্টস ই স্কিনে ইফেক্টিভলি কাজ করবে না৷
❌ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো এবজর্ব নাও হতে পারে
এরপরের যে বিষয়টি কনসিডারেবল তা হচ্ছে ইনগ্রেডিয়েন্ট টি কি Oil-soluble নাকি Water-soluble।
- Retinol is oil- soluble যা অয়েলে দ্রবীভূত বা এবজর্ব হয়ে যায়।
- L-ascorbic acid is water soluble যা শুধুমাত্র পানিতে মিশে যায়।
তেল এবং পানি কখনোই একসাথে মিশে না৷ সো আমরা যদি পানিতে মেশে এমন ভিটামিন সি, তেলে মেশে এমন রেটিনলের সাথে এপ্লাই করি তা কখনোই একসাথে পেনিট্রেট করা যাবে না স্কিনে এবং কোনো বেনেফিট ও পাওয়া যাবে না। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার , অয়েল কিন্তু আমাদের স্কিনে ব্যারিয়ার তৈরি করে যা অন্যান্য প্রোডাক্ট স্কিনে এবজর্ব হতে বাঁধা দেয়।
রেটিনল এন্ড ভিটামিন সি এপ্লাই করার বেস্ট উপায়
রেটিনল এবং ভিটামিন সি একসাথ এপ্লাই করা না গেলেও কিছু ট্রিকস ফলো করলেই কিন্তু আমরা দুটো products এর বেনিফিট ই পেতে পারি কোনো স্যাক্রিফাইস ছাড়াই। যেমন-
✔️ ভিটামিন সি সকালে এপ্লাই করা এবং রেটিনল রাতে এপ্লাই করা৷ এই ট্রিকস ফলো করতে পারলে স্কিন এর হায়েস্ট বেনিফিট পেতে পারে কেননা এক্ষেত্রে pH লেভেল চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
✔️ ভিটামিন সি এবং রেটিনল একই রাতে ব্যবহার না করে পর পর আলাদা রাতে ইউজ করা৷ অল্টারনেটিভ রাতে দুটো ইনগ্রেডিয়েন্ট এপ্লাই করলে দুটোই স্কিনে খুব ভালোভাবে কাজ করবে কোনো চিন্তা ছাড়াই।
✔️ ৩০ মিনিট ব্যবধানে ভিটামিন সি এবং রেটিনল ইউজ করা। যদি ভিটামিন সি এবং রেটিনল একি রাতে এপ্লাই করতেই হয় তাহলে, প্রথমে ভিটামিন সি এপ্লাই করতে হবে কেননা এর pH লেভেল কম। তার ৩০ মিনিট পর রেটিনল এপ্লাই করতে হবে। এতে করে দুটো ইনগ্রেডিয়েন্টই তাদের নির্দিষ্ট pH লেভেলে কাজ করতে পারবে৷ একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট এপ্লাই করার আধা ঘন্টা সময়ের মাঝে স্কিনের pH আবার নরমাল হয়ে যায়।
✔️ যদি আপনার হাতে ৩০ মিনিট সময় না থাকে অপেক্ষা করার মতো কিন্তু তবুও আপনি একসাথে দুটো ইনগ্রেডিয়েন্ট এপ্লাই করতে চান তাহলে আপনার জন্য বেস্ট ওয়ে হবে ভিটামিন সি ডিরাইভেট ব্যাবহার করা। এই প্রসেসে ভিটামিন সি ডিরাইভেটিভসকে প্রথমে ভিটামিন সি র এক্টিভ ফর্ম- L-ascorbic acid এ কনভার্ট করে নিতে হবে। এরা স্কিনের জন্য বেশি স্ট্যাবল ও কম ইরিটেটিং। সেইসাথে প্রায় একই বেনেফিট প্রোভাইড করে৷ Protection from free radicals, brightening, collagen boosting এর মতো কাজেও বেশ ইফেক্টিভ।
আপনার রেটিনল এবং ভিটামিন সি এর pH লেভেল যদি খুব কাছাকাছি হয় তাহলে একই সাথে ব্যবহার করতে পারবেন কারণ এরা একে অপরকে destabilize করবে না।
ভিটামিন সি ডিরাইভেটিভস হিসেবে এই ফর্মুলা গুলো সিলেক্ট করা যেতে পারে-
- Ascorbyl glucoside (pH 5.0 to 7.0)
- Ascorbyl tetraisopalmitate (pH 4.0 to 6.0)
- Ethyl ascorbic acid (pH 4.0 to 5.5)
- Magnesium ascorbyl phosphate (pH 6.0 to 7.0)
- Sodium ascorbyl phosphate (pH 6.0 to 7.0)
এইসব ইনগ্রেডিয়েন্ট এপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কোনটা আগে এবং কোনটা পরে এপ্লাই করা উচিত৷ যেমন প্রথমে লোয়েস্ট pH সমৃদ্ধ ইনগ্রেডিয়েন্টস এপ্লাই করা, টেক্সচারের দিকে খেয়াল রাখা, কেননা লাইটার ওয়াটার বেইজড ইনগ্রেডিয়েন্টস প্রথমে এপ্লাই করা উচিত যেহেতু অয়েল বেইজড ইনগ্রেডিয়েন্টস স্কিনে ব্যারিয়ার তৈরি করে এবজর্বের ক্ষেত্রে।
আবার যদি দুটো ইনগ্রেডিয়েন্টস এর মধ্যে pH লেভেলের খুব বেশি গ্যাপ না থেকে থাকে তাহলে, প্রথম প্রোডাক্টটি এবজর্ব হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই পরের টি এপ্লাই করা যেতে পারে। তবে pH লেভেল যদি ১.৫-২.০ পর্যন্ত ডিফার করে তাহলে ওয়েট করা ভালো৷
যদি ভিটামিন সি প্রোডাক্টটি ওয়াটার বেইজড না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে করণীয় কি?
ভিটামিন সি এর Anhydrous solution বা ওয়াটার ফ্রি ফর্মূলায় সাধারণত অয়েল, সিলিকন বা অয়েলি সলভেন্টস থাকে যেগুলো ভেদ করে রেটিনল স্কিনে ঢুকতে পারেনা। এইক্ষেত্রে প্রথমে রেটিনল এপ্লাই করে নেয়া ভালো। এবজর্ব হয়ে যাওয়ার পরে ভিটামিন সি। আবারও মনে করিয়ে দেয়া ভালো আমরা কিন্তু আলাদা আলাদা সময়ে কিংবা অলটারনেটিভ রাতে ভিটামিন সি এবং রেটিনল ইউজ করতে পারি।
আশা করি এই টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি কাজে আসবে এবং আপনাদের স্কিনকেয়ার রুটিনে রেটিনল এবং ভিটামিন সি আরো ইফেক্টিভ রোল প্লে করবে।
আমাদের রেকমেন্ডেড রেটিনল প্রোডাক্টস
- Boots Retinol Serum– লো বাজেটে বিগিনারদের জন্য খুবই ভাল একটি অপশন।
- The Ordinary Retinol 0.2% In Squalane – সেরাম ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং প্রথমবারের জন্য রেটিনল ব্যবহার করতে চান তাঁদের জন্য অর্ডিনারী রেটিনল ০.২%।
- The Ordinary Retinol 0.5% In Squalane Serum – স্কিনে অলরেডি রেটিনল স্যুট করেছে এবং stronger retinol try করতে চান তাঁদের জন্য অর্ডিনারী রেটিনল ০.৫%।
- The Inkey List Retinol Serum – ০.২% বা ০.৫% রেটিনল আগে ব্যবহার করেছেন এবং আরো হায়ার পারসেন্টেজ ট্রাই করতে চান তাঁদের জন্য ইঙ্কি লিস্টের এই রেটিনল। এতে আছে 1% RetiStar stabilised Retinol ও 0.5% Granactive Retinoid।
আমাদের রেকমেন্ডেড ভিটামিন সি প্রোডাক্টস
- Boots Vitamin C serum– আগে কখনো সেরাম ব্যবহার করেন নি, লো বাজেটে নতুন শুরু করতে চান তাঁদের জন্য ভাল একটি অপশন।
- The Inkey List 15% Vitamin C And EGF Serum– এতে আছে 15% Ascorbyl Glucoside (Vitamin C) এবং 1% Epitensive যেটা স্কিন সেল রিজেনারেশনে সাহায্য করে!
- The Inkey List Vitamin C 30%- ৩০% pure stable l-ascorbic acid সমৃদ্ধ এই সেরাম। প্রেগন্যান্সি/ ব্রেস্ট ফিডিং টাইমেও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন!
Thank you so much Sanjida Apu for this post.
Thank you dear for reading!
Hello,
Can you suggeste anti ageing skin care. I am 37 , having blemishes around cheek near to eyes, combination skin, white heads too.
Hi, it will be so much better if you could lmk which products you are currently using. Take care!
thamks for the post
Glad you read it <3
sorry for the typo
Apu,can you please right a little about ordinary niacinamide and zinc serrum.i have acne scars nd pigmentation over my face
Sure, will do