কোন প্রোডাক্ট টা স্কিনে রিএক্ট করছে বোঝার উপায় কী?

Patch test কি?

Patch test হল আপনার স্কিনে কোন প্রোডাক্ট মানাবে কিনা তা পরীক্ষা করার পদ্ধতি।

এই টেস্ট করার বেনিফিট কি?

  • এই টেস্ট করার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্টটি আপনার স্কিনের ধরণের সাথে মানানসই তা বুঝতে পারবেন।
  • এই প্রোডাক্ট টি থেকে আপনার কোন এলার্জি হচ্ছে কিনা দেখতে পাবেন।
  • প্রোডাক্টটি আপনার স্কিনে pore clog করে একনি ব্রেকাউট/ ব্রণ তৈরী করছে কিনা জানবেন।

Patch test করা শুধুমাত্র যে উপকারী তা ই না, ত্বকে ব্যবহার করা হবে এমন যে কোন নতুন প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে অবশ্য কর্তব্য। এমনকি আগে ব্যবহার করা হয়েছে এমন প্রোডাক্টও নতুন কেনা হলে patch test করে নেয়া জরুরী, কারণ নতুন প্রোডাকশনের ব্যাচে কোন নতুন ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে যা আগের ব্যাচের প্রোডাক্টগুলোতে ছিল না। এই টেস্ট যে শুধুমাত্র সেনসিটিভ স্কিনের অধিকারীরাই করবেন তা না, কারণ স্কিন টাইপ যা ই হোক না কেন সবার স্কিনই কোন না কোন ইনগ্রেডিয়েন্টের প্রতি সেনসিটিভ যা টেস্ট না করে আগে থেকে জানার কোন উপায় নেই।

https://www.youtube.com/watch?v=8zf6rfnUI3w

 

কীভাবে করতে হবে?

১) প্রথমে আপনার মুখ ভালভাবে ফেসওয়াশ এবং পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।

এলার্জি বা সেনসিটিভিটি টেস্ট করার জন্য-

  • নতুন কেনা প্রোডাক্টটি থেকে আংগুলের ডগায় অল্প স্যাম্পল নিয়ে কানের সামনে, বা পেছনে, অথবা গলায় ২ ইঞ্চির মত স্কিন কাভার করে লাগিয়ে ফেলুন।

Pore clogging/ breakout টেস্ট করার জন্য-

  • প্রোডাক্টটি আপনার থুতনিতে বা কপাল এবং নাকের উপর (টি জোনে) ২ ইঞ্চির মত স্কিন কাভার করে লাগিয়ে ফেলুন।

২) যদি প্রোডাক্টটি washable হয় (যেমন- ফেসওয়াশ, ফেস মাস্ক ইত্যাদি) তাহলে ৫-১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩) যদি washable না হয়, (যেমন- ময়েশ্চারাইজার, টোনার ইত্যাদি) তাহলে এটি ধুয়ে/ মুছে ফেলবেন না।

৪) এবার ৪৮-৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মনে রাখবেন, এই সময়ের মাঝে স্কিনে অন্য কোন প্রোডাক্ট এপ্লাই করা যাবে না।

৫) খেয়াল করুন সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা (৩ দিন) পর্যন্ত স্কিনে কোন চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া বা র‍্যাশ, ব্রণ দেখা দিচ্ছে কিনা। যদি দেখা দেয়, তাহলে ওই প্রোডাক্টটি আপনার ব্যবহার না করাই ভাল।

৬) যদি এমন কোন রিএকশন দেখতে না পান তবে নিশ্চিন্তে প্রোডাক্টটি ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন।

কিছু সাবধানতা………

১) একই সাথে অনেকগুলো প্রোডাক্ট patch test করা যাবেনা। এমনকি স্কিনের বিভিন্ন অংশেও না। এর কারণ হল- স্কিনের যে অংশে আপনি নতুন প্রোডাক্টটি টেস্ট করছেন রিএকশন এক্সাক্টলি সেখানে না হয়ে অন্য অংশেও দেখা যেতে পারে। এতে টেস্ট টি নিষ্ফল হবে এবং আপনি বুঝতে পারবেন না ঠিক কোন প্রোডাক্টটির কারণে রিএকশন হল।

২) একই সাথে অনেকগুলো প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু না করে, সপ্তাহে নতুন সর্বোচ্চ একটি প্রোডাক্ট ইউজ শুরু করা ভাল। এবং প্রতি প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরুর আগে অবশ্যই patch test করে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *