PAO, বা period after opening date European Cosmetics Regulation Guidelines এর ভিত্তিতে তৈরী প্রোডাক্ট লেবেলের গায়ে এর শেলফ লাইফ প্রদর্শনের পদ্ধতি। বিভিন্ন দেশে এই লেবেলিং এর পদ্ধতি ভিন্ন হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে কসমেটিক বা বিউটি প্রোডাক্টের লেবেলে এই ছবির মত একটি সিম্বল দিয়ে শেলফ লাইফ বোঝানো হয়-
সিম্বলটি দেখতে একটি ক্রিমের কৌটার মত, যার উপরে একটি সংখ্যা এবং এর পাশে M লেখা থাকে। এই M=Month. এর আগে সংখ্যাটি দিয়ে বোঝানো হয় প্রোডাক্টটির ক্যাপ খোলার পর থেকে কত মাস পর্যন্ত এই প্রোডাক্টটি ভাল থাকবে। উদাহরণ- প্রোডাক্টের লেবেলে যদি 6 M PAO (period after opening) লেখা থাকে, তার মানে প্রোডাক্টটি চলতি বছরের জানুয়ারীর ১ তারিখে খোলা হলে ন্যূনতম জুলাই এর ১ তারিখ পর্যন্ত এর গুনগত মান অক্ষুন্ন থাকবে।
এর পরে মনে একটি প্রশ্ন জাগে- আমি যদি ১০ বছর পরে প্রোডাক্টটি ওপেন করি তাহলে কি ততদিন পর্যন্তই প্রোডাক্টটি ভাল থাকবে?
উত্তর- সাধারণত বিউটি প্রোডাক্ট গুলো এমন ভাবে তৈরী করা হয় যা ক্যাপ খোলা না হলে (অর্থাৎ- প্রোডাক্টটি বাতাসের সংস্পর্শে না এলে) ৩-৫ বছর পর্যন্ত একদম fresh manufactured product এর মতই কোয়ালিটি থাকে। এর কারণ হল কোন প্রোডাক্ট কতদিনে নষ্ট হয় তা ডিপেন্ড করে বাতাসে উপস্থিত আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, microorganism percentage- ইত্যাদি বিষয়ের উপর। বাতাসের সংস্পর্শে না এলে এর শেলফ লাইফ ঠিক থাকে বহু বছর।
আরো একটি প্রশ্ন আসে- যদি 6 M লেখা থাকে, তাহলে কি এই ৬ মাসের পরে আর প্রোডাক্টটি ব্যবহার করতে পারব না?
উত্তর- তাও নয়। শেলফ লাইফে লেখা সংখ্যাটি দিয়ে বোঝানো হয় মিনিমাম ৬ মাসের আগে তা একদমই নষ্ট হবেনা। এই সময়ের পরেও যদি এর রঙ, গন্ধ এবং কার্যকারিতা একই রকম থাকে তাহলে তা ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন। যদি রঙ, গন্ধ এবং কার্যকারিতায় কোন ধরণের পরিবর্তন হয় তবে প্রোডাক্টটি আর ব্যবহার না করাই ভাল।
এই বিষয়ে আরো জানার জন্য দেখতে পারেন এই আর্টিকেলগুলো-
https://en.wikipedia.org/wiki/Period-after-opening_symbol
https://ec.europa.eu/growth/sectors/cosmetics/